
“সচেতন নাগরিকের প্রশ্ন—কবে আসবে প্রকৃত আস্থার রাষ্ট্র?”
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫ │ মঙ্গলবার
ফেসবুক ওয়াল থেকে: মো: কায়সার হামিদ লোভন
ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও, বাংলাদেশ ফাইনান্স
বাংলাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে পাড়ায়–গ্রামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুব, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা কমিটি গঠন করেছেন। উদ্দেশ্য একটাই—উৎসব যেন নির্বিঘ্নে উদযাপিত হয়।

তবে এ চিত্র একেবারেই নতুন নয়; বিগত দশকেও একইভাবে পূজা নিরাপত্তায় রাজনৈতিকভাবে গঠিত কমিটির ভূমিকা দেখা গেছে। পার্থক্য শুধু এই যে, সময়ে সময়ে কমিটির সদস্যরা বদলে গেছেন। যারা একসময় দায়িত্বে ছিলেন, তারা আজ আর সক্রিয় নন; আবার যারা আজ এগিয়ে এসেছেন, তারা আগে তেমন যুক্ত ছিলেন না।
এ বাস্তবতা গভীর সংকটের ইঙ্গিত দেয়। কারণ পূজা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলেও কেন সাধারণ নাগরিকদের রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয়ে সেই ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে—এটাই বড় প্রশ্ন।
মূল কারণগুলো হলো—
রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যবহৃত হয়।
রাজনীতির প্রভাব বিস্তার: নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজনৈতিক প্রচারের অংশে পরিণত হয়েছে।
আস্থার ঘাটতি: সংখ্যালঘুরা জানেন কেবল রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল হলে ঝুঁকি থেকে যায়।
ফলাফল হলো, ধর্মীয় নিরাপত্তা এখনো রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও দলীয় উদ্যোগের উপর নির্ভরশীল।
মো: কায়সার হামিদ লোভনের বক্তব্য মাগুরা টাইমস ২৪–কে তিনি জানান:
“আমি ফেসবুকে লিখি কারণ আমি একজন সচেতন ব্যক্তি। দেশের জন্য, সমাজের জন্য ভাবি। এই বাংলাদেশটাকে আমি ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি, এলাকার মানুষকে ভালোবাসি। একজন রাজনৈতিক সচেতন মানুষ হিসেবে আমার চোখ দিয়ে আমি দেখি—এখনো কেন সনাতন ভাইবোনদের নিরাপত্তা দিতে হবে কোনো রাজনৈতিক দলের? এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নয়।”
তিনি আরও বলেন—
“সত্যিকারের পরিবর্তন তখনই আসবে, যখন কোনো পূজা, ঈদ জামাত কিংবা বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য রাজনৈতিক কমিটির প্রয়োজন হবে না—রাষ্ট্র নিজেই সেই আস্থার জায়গা তৈরি করবে।”